বাংলা ও বাংলাভাষী বিদ্বেষে জাতীয় ঐক্যের বিপজ্জনক অধ্যায়ের সূচনা ।
বাংলা ও বাংলাভাষী বিদ্বেষে জাতীয় ঐক্যের বিপজ্জনক অধ্যায়ের সূচনা ।
বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক ঠিক কত মানুষ ভিন রাজ্যের পাড়ি দেই জীবিকার সন্ধানে না রাজ্যের কাছে তথ্য আছে না কেন্দ্রের কাছে তথ্য আছে ঠিক কতটা সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে কোনও কাজ করতে যায় ,তার কোনও নির্দিষ্ট রূপ রেখা তৈরি করা হচ্ছে না। বর্তমানে যে সংকট চলছে কেউ বলছে 22 লক্ষ কেউ বা বলছে আর বেশি হলে ও হতে পারে । ঠিক বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর আক্রমণ কেনো ? এর উত্তর কিন্তু গভীরে একদিকে বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ববাদ যে বাংলাভাষী মানে মুসলিম আর মুসলিম মানে বিপজ্জনক । কিন্তু হঠাৎ করে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো কেনো ! যে বাংলাভাষী নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো অতি তৎপর হয়ে উঠলো । তাদের দাবি বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করে বহু জন ওপার বাংলা থেকে চলে আসছে । অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিতকরণ দেশের নির্দিষ্ট আইন আছে সেই আইন গুলো মানা হচ্ছে কি ? না মানা হচ্ছে না কোথাও আটকে রাখা হচ্ছে বা জেলে ভরা হচ্ছে, কোথাও আবার জেসিপি দিয়ে বাংলাদেশের বর্ডারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । চূড়ান্ত অমানবিকতার পরিচয় দিচ্ছে।এইভাবে কি আটকে রাখা বা জেলে রাখা যায় ! আসলে কোনও আইন তোয়াক্কা না করে বাংলাবিদ্বেষী বা বাংলাভাষা বিদ্বেষী একটা পরিসর গড়ে তুলতে চাইছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে । রাজ্য সরকারের ও সদর্থক ভূমিকা পালন করা উচিত পঞ্চায়েত পৌরসভা ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা উচিত ঠিক কত জন বাঙালী বাইরের রাজ্যে কাজ করছে । কোথাও বাংলা ভাষা বলার জন্য বা কোথাও মুসলিম নামের জন্য আটক করছে । কাউকে আটক করার পর তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করতে হয় । না সেই গুলো করা হয় নি । গ্রামে যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের অত্যাচার হলে বা তাদের উপর আক্রমণ হলে সেই তথ্য সরকারের কাছে কিভাবে আসবে তা সরকার কে উপলব্ধি করতে হবে । বুথ ভিত্তিক সরকার কে কুইক রেসপন্স টিম তৈরি করতে করার প্রয়োজনীয়তা আছে যেখানে কোনও বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক আক্রান্ত বা হেনস্থা হলে দ্রত পঞ্চায়েতে জানাতে পারবে যাতে সরকারে উচ্চপর্যায়ের জায়গা থেকে ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে পারে তেমন ব্যবস্থা করতে হবে।
Shoyaib Purkait
Comments
Post a Comment